

সীমান্তে সৈনিকের দিনগুলিমোঃ মিলন হকপ্রস্তাবনামঈন আলী বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির একজন নির্ভীক ও সাহসী সৈনিক।বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার নাগরভিটা গ্রামের নিকট, ভারতীয় সীমানা সংলগ্ন নাগর নদীর তীরে প্রায়ই তার ডিউটি পড়ে।দিন হোক বা রাত, শীতের কুয়াশা বা বৃষ্টির অন্ধকার—দেশের সীমানা রক্ষায় তিনি সদা প্রস্তুত।প্রতিটি দিনের স্মৃতি তিনি লিপিবদ্ধ করেন নিজের ডায়েরিতে।এই নাটক সেই সীমান্তের এক অবিস্মরণীয় গল্প…দৃশ্য ১: সীমান্তে পাহারাসময়: শীতকাল, ভোর।কুয়াশায় ঢাকা নাগর নদীর তীর। দূরে কাঁটাতারের বেড়া। মাঝে মাঝে পাখির ডাক শোনা যায়।মঈন টর্চলাইট হাতে টহল দিচ্ছে।(দুপুরে মেয়েদের হাসির শব্দ কুয়াশা ভেদ করে তার কানের কাছে ভেসে আসে।)মঈন: আপনাদের বাসা কোথায়?একজন মেয়ে: এখানেই আমাদের বাসা। আপনি আপনার কাজ করুন, আমাদের বিরক্ত করবেন না।মঈন (হালকা হাসি দিয়ে): বিরক্ত করছি নাকি? আচ্ছা, আপনারা ঘাস কাটুন। কিন্তু নামটা জানতে পারি কি?আরেকজন মেয়ে: আবারও আপনি!মঈন: ঠিক আছে, চলে যাচ্ছি।আরেক মেয়ে: স্যার, আমাদের নাম শুনে যান—সুলতানা, রোকেয়া, রহিমা, রোজিনা।(মঈন ডায়েরি লিখছে, ধীর স্বরে পাঠ করে)\"আজকের দিনও বয়ে গেল কুয়াশার অন্তরালে, কাঁটাতারের ছায়ায়।চোখে ভাসে সুলতানার মায়াময়ী হাসি যেন শশীর কোমল আলো।\"রফিক: শোনো মঈন, এইবার শীত আরও বেড়েছে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। টহল আরও কঠিন হবে।মঈন: দেশের সীমান্ত রক্ষা করতেই হবে—যেন সুলতানারা শান্তিতে থাকতে পারে।
0 Comments