

শ্যামপুর গ্রামের পাশ দিয়ে অবিশ্রান্ত বারিধারায় বয়ে চলেছে ডোলনদী। বর্ষার মৌসুম ব্যতীত বাকি সারাবছর নদীর ঘাটে মানুষের চলাচল। নদীর ঘাটে বটগাছের নীচে ক্লান্ত মধ্যাহ্নে, বিকালে সবাই যায়। বটগাছের নীচে আছে সুজন মিয়ার চায়ের দোকান। ডোলনদীতে দেশীয় প্রজাতির নানান মাছ পাওয়া যায়। রাতের বেলায় নদীতে অনেকে মাছ ধরতে যায়।গ্রামের যুবক হারুন মিয়া। তার নদীর পাড়ে আছে তিন বিঘা জমি ও বাড়ির পাশে আছে দুই বিঘা জমি। সে বিবাহিত পুরুষ। তার স্ত্রীর নাম আমিনা এবং একজন পাঁচ বছরের ছেলে আছে।একদিন রাতে বর্ষাকালে অমাবস্যার তিথিতে, হারুন ও তার বউ ঘরে ছেলেকে একা রেখে নদীতে মাছ ধরতে যায়। নদীতে ঝড় সৃষ্টি হলে ঝড়ের কবলে পড়ে দুজনে মারা যায়।হারুন মিয়ার ছেলে মতি তার ছোট ভাই বাবুলের কাছে বড় হয়। বাবুল মিয়ার এক ছেলে। বাবুল মিয়া প্রচণ্ড অর্থলোভী।মতি এখন চব্বিশ বছরের একজন যুবক। মতি কে খাওন-দাওন দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে বাবুল মিয়া। বাবুল মিয়া সব সম্পত্তি নিজের দখলে রাখে, মতি কে ভাগ দেয় না। মতি সম্পত্তির ভাগ চাইলে বাবুল মিয়া ধরে মার দেয়। মতি ও তার বন্ধু সুমন সারাদিন সুজন মিয়ার চায়ের দোকানে বসে, বটতলায় শুয়ে কাটায়।সুমন কালুর ছেলে। সুমন বিবাহিত কিন্তু তার বউ তার কাছে থাকে না। তার শশুর বাড়িতে থাকে। সুমন বেশ কয়েকবার শশুর বাড়িতে বউ নিতে গেলেও বউ কিছুতেই আসতে চাইনা।মতির পছন্দ হয় দশম শ্রেণী পড়ুয়া পারুলকে। পারুল স্কুলে গেলে মতি তার পিছনে পিছনে যায়। মতি পারুল কে “পারু” বলে ডাকে।
0 Comments