

ময়মনসিংহের আনন্দ মোহনে পড়তে গিয়ে মতিনের সাথে আমার বন্ধুত্ব হয়েছিল একেবারে প্রথম দিন থেকেই। দুজনেই একই বর্ষে ভর্তি হলাম, একই মেসে, একই রুমে উঠলাম। পড়াশোনার ফাঁকে আমরা যেন ভাইয়ের মত হয়ে গেলাম। মতিন ছিল অদ্ভুত প্রাণবন্ত—সবসময় গল্প করতে ভালোবাসতো, আবার কখনো গভীর দার্শনিক ভঙ্গিতে নীরব হয়ে যেতো।মেসে থাকার সময় এক জিনিস আমি নিয়মিত দেখতাম—প্রতি সপ্তাহে, কখনো কখনো প্রতিদিনই, ডাকপিয়ন এসে মতিনের জন্য একটা খাম দিয়ে যেত। খামের ভেতরে থাকতো তার বোনের লেখা চিঠি। আমি অবাক হতাম, ভাই-বোনের মধ্যে এত নিবিড় সম্পর্ক! মতিন সেই চিঠি একা পড়তো না, আমাকে সঙ্গী করতো। আমরা দুজনে পাশাপাশি বসে তার বোনের লেখা লাইনগুলো পড়তাম। চিঠিগুলোতে কখনো ঘরের খবর, কখনো গ্রামের মজার গল্প, কখনো আবার নিছক ভালোবাসার কাতরতা।একদিন খামের ভেতর থেকে একটি রঙিন ছবি বের হল।
0 Comments