গ্রামের নাম বকুলডাঙ্গা। একদম অদ্ভুত জায়গা—সেখানে মানুষ নয়, জুতা ঘুমায়।হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। মানুষরা দিনের বেলায় জুতা পরে আর রাত হলে জুতারা ঘুমায়, স্বপ্ন দেখে আর মাঝে মাঝে প্ল্যান করে,\"কবে মানুষদের পায়ে ওঠার বদলা নেওয়া হবে!\"একদিন এক জোড়া পাটি—নাম তার কাদা কুমারী আর ধূলা লালন, হন্তদন্ত করে জেগে উঠল। কারণ তাদের স্বপ্নে এক ভবিষ্যদ্বাণী এসেছে— “যে জুতা মানুষকে ঘুম পাড়াতে পারবে, সে-ই হবে পৃথিবীর মালিক!”তারা রাতেই গোপনে চলে গেল পাশের শহরে, এক রিটায়ার্ড বিজ্ঞানী জুতার কাছে। বিজ্ঞানী জুতার নাম ড. ফিতা কুচকানু, যিনি একসময় বিশ্ব জুতামন্ত্রী ছিলেন।তিনি তৈরি করলেন এক ভয়ংকর যন্ত্র—ঘুম বোমা। এই বোমা মানুষদের চোখে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে ৭ দিনের ঘুম!পরদিন সকালেই কাদা কুমারী আর ধূলা লালন এই বোমা ফাটাল।অবস্থা ভয়াবহ!পুরো বকুলডাঙ্গা ঘুমিয়ে গেল। স্কুলের ঘণ্টা বাজলো ৪৮ বার—তবুও কেউ উঠল না।ড্রাইভার ঘুমিয়ে বাস চালাতে গিয়ে বাস ঢুকলো মেঘের মধ্যে!একজন রিকশাওয়ালা ঘুমিয়ে রিকশা চালাতে চালাতে চলে গেল চাঁদের বাজারে। সেখানে চাল-ডাল কিছুই নাই, শুধু আছে “বড়শি দিয়ে হাঁসি ধরা” খেলা।এদিকে, জুতারা ঘোষণা দিল,“আজ থেকে মানুষ পায়ে জুতা পরবে না, জুতা পিঠে মানুষ বয়ে বেড়াবে!”এক বিশাল র্যালি শুরু হলো—শ্লোগান:“জুতা চাই স্বাধীনতা, মানুষ হোক বস্তুপঁচা!”ঠিক সেই সময় জাগলো একজন—মরিচভাজা খাওয়া সাহসী কিশোর ‘গেন্জি রতন’।সে বুঝল, এ তো এক জুতার রাজত্ব শুরু হয়েছে!সে গলা বেঁধে গান ধরল,“পায়ে পড়া জুতা, তুমি মাথায় উঠিও না!”এই গানের শব্দে বোমার ঘুম ভাঙা এড়ানো গেল না। কিন্তু তার গলায় ছিল “অ্যান্টি-জুতা তরঙ্গ”—বিশেষ ধ্বনি, যা একমাত্র গেন্জি রতনের জন্মদাঁতের ফাঁক দিয়ে বের হয়।ধীরে ধীরে মানুষ জেগে উঠলো। ঘুমন্ত জুতাগুলো তল্পিতল্পা গুটিয়ে পালিয়ে গেল ‘জুতালয় গ্যালাক্সি’-তে, যেখানে এখনো তারা প্ল্যান করছে—“পরবর্তী আক্রমণে নিয়ে আসব হাওয়াই চপ্পল বাহিনী!”ঘুম ভাঙলে উঠে দাঁড়াবেন না, আগে দেখে নিন পায়ে কিছু নিজেই হাঁটছে কিনা! 😵💫
0 Comments