

সেনা ছিলো রাজা গজেশ্বরের বিশিষ্ট রথচালক ও তরুণ যোদ্ধা। সে জন্মেছিলো কৃষক পরিবারে, কিন্তু নিজের সাহস আর বুদ্ধির জোরে রাজপ্রাসাদের আস্থা অর্জন করে ফেলেছিলো অল্প বয়সেই। সে ছিলো বীর, কিন্তু হৃদয়ে ছিল এক অপার কোমলতা—শুধু একজনের জন্য।শঙ্খিনী, নদীবক্ষে বাস করা এক ‘নাগকন্যা’ বলে জনশ্রুতি, কিন্তু বাস্তবে সে ছিলো ধীবর সমাজের এক অপূর্ব সুন্দরী কন্যা। তাঁর চোখে ছিল জলপাই পাতার রঙ, কেশে ছিল শঙ্খের মত ঝিলিক, আর কণ্ঠে ছিল গীতিময় নদীর ধ্বনি। বলা হতো, শঙ্খিনী নদীতে গাইলে মাছ ডাঙায় উঠে আসত।এক বর্ষার দিন সেনার রথ যখন যুদ্ধ শেষে ফিরছিলো, পথে সুরমা নদীর তীরে সে প্রথম দেখে শঙ্খিনীকে—পানিতে ভেসে থাকা পদ্মফুল তুলছিলো সে, জলে কাঁচা সূর্যের ছায়া। সে মুহূর্তেই যেন সেনার সময় থেমে গেল।
0 Comments