
গল্পঃ\'লড়াই\'✍নাদিয়া নওশাদ জয়িতার বয়স সবেমাত্র বাইশ বছর। সমাজকল্যাণ বিষয়ে অনার্স শেষ করেছে। খুব ভালো বিয়ের সমন্ধ আসাতে জয়িতার বাবা পরিমল মিত্র বেশ তড়িঘড়ি করেই মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিলেন। বর সুশীল ভদ্র ব্যবসায় প্রশাসনে এম.বি.এ. করে একটি মাল্টিনঅ্যাশনাল কোম্পানির ম্যানেজার। বাবা-মায়ের একমাত্র ছেলে। যদিও প্রয়োজন নেই তবুও জয়িতার বাবা-মায়ের শখ সুশীলকে যৌতুক নয়,উপহার হিসেবে একটা গাড়ি দেবে। তবে কিছুটা সময় পাত্র পক্ষের কাছ থেকে চেয়ে নিলেন পরিমল। যথারীতি বিয়ের পর দিন,মাস, বছর কেটে গেলো। দেরী সহ্য করতে না পেরে সুশীল জয়িতাকে গাড়ির জন্য চাপ প্রয়োগ করতে লাগলো। জয়িতার শশুর-শাশুড়ীরও জয়িতার প্রতি গঞ্জনার শেষ নেই। নানারকম কটু কথা বলে,দুর্ব্যবহার করতে থাকে। কিন্তু জয়িতা বাবার কাছে কিছু খুলে বলতে পারে না। একদিন সুশীল ও জয়িতার তুমুল কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সুশীল জয়িতাকে টেনে হিঁচড়ে জয়িতাকে রান্নাঘরে নিয়ে গিয়ে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়। সুশীল রান্নাঘর থেকে বের হবার পর সুশীলের বাবা-মা জয়িতাকে বাইরে থেকে দরজার খিল দিয়ে দেয়। জয়িতা অবশেষে পুলিশ সুশীলদের বাড়িতে তদন্ত চালায়।অবাক কান্ড রান্নাঘরের সব ছাই হয়ে গেলেও এক কোণে দিয়াশলাই বাক্স পড়ে ছিল। ঐ দিয়াশলাইতে সুশীলের আঙুলের ছাপ পাওয়া যায়।
0 Comments