
পৌঁছে রিক্সা ভাড়া বাবদ বিশ টাকার পরিবর্তে পাঁচশত টাকার একটা নোট দিলেন। রফিক প্রশ্নবোধক দৃষ্টি নিয়ে আকাশ বাবুর দিকে তাকিয়ে রইলো। পুরো টাকাটাই তোমাকে দিলাম।জি, ঠিক আছে স্যার।তুমি এখন সোজা বাজারে যাবে। বাজার সদাই করে বাসায় ফিরবে। চাউলটা একটু বেশি কিনবে।জি, ঠিক আছে। তারপর সালাম জানিয়ে মিষ্টি হেসে বিদায় নিয়ে চলে গেল রফিক।আকাশ বাবু জানেন, এই পাঁচশত টাকা আজকাল কিছুই না। তবু তো একটু কিছু হলো। উনার হাত-পা বাঁধা চলমান জীবনের কাছে। আর রফিক রফিকের কাছে।আকাশ বাবু চিন্তায় ডুবে আছেন করোনা কোনদিন শেষ হবে। তারপর চাকরি খুঁজবেন অথবা আরো অপেক্ষা। দুঃশ্চিন্তায় মাথার ভেতর কালো মেঘের ঘনঘটা। আর রফিকও চিন্তিত অনিশ্চিত দিনের আচমকা হানায়। দিন ঘুরছে তিন চাকার রিকসায় ত্রিকালের আবর্তে। আকাশ বাবু চিন্তাক্লিষ্ট মনে ব্যাগ হাতে ঘরে প্রবেশ করেন নিশ্চিত বসবাসের জন্য। নিশ্চিত বসবাস নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে পেন্ডুলামের মতো দুলছে সেকেন্ড, মিনিট আর ঘন্টায়; অতীত, বর্তমান আর ভবিষ্যৎ; তিনটি সময়ে ত্রিকালের চাকা একইভাবে অবিরাম ঘুরছে।
0 Comments