

আমি তখন প্রচণ্ড জ্বরে ভুগছি। শরীরের তাপ এমনভাবে বাড়ছিল যে মনে হচ্ছিল বুকের ভেতর থেকে আগুন বের হচ্ছে। ডাক্তার দেখিয়েছি, ওঝা ডেকেছি, দোয়া-ফুঁক সবই করেছি—কিন্তু কাজ কিছুই হচ্ছিল না। একদিন, একরকম হাল ছেড়ে দিয়ে শুয়ে ছিলাম বিছানায়। ঘরটা আধো অন্ধকার, জানালার পাশে জিরজিরে বাতাস ঢুকছে।তখনই হঠাৎ দরজায় কড় কড় শব্দ হলো। মা ভেবেছিল কেউ আশপাশের মানুষ, দরজা খুলে দেখল এক অচেনা লোক দাঁড়িয়ে আছে। হেংলা, শুকনো গড়ন, চুলগুলো এলোমেলো, চোখদুটি অদ্ভুত গভীর—যেন বহু শতকের ঘুম তার ভিতরে। তার গায়ে একটা পুরনো ধূসর চাদর, হাতে একটি ছোট পিতলের ঘটি।
0 Comments