আজ কম ধকল গেলো না শরীরের উপর দিয়ে...একটা লাশ পুঁতে ফেলা কি এতই সোজা? অনেক পরিশ্রমের কাজ... কিন্তু কি করবে?তাকে তো সব একাই করতে হতো...শরীরটা সোফায় এলিয়ে দিয়ে সব ঘটনা মনে করছে সানজানা...এমন না যে রায়ান কে সে ভালোবাসতো না...প্রেম করেই বিয়ে তাদের... কিন্তু রায়ান তার জব করা কে কোনোদিন মেনেই নিতে পারেনি।আরে!সে আজকালকার মেয়ে...সে কি বাসায় বসে থাকবে... নিজের ক্যারিয়ার গড়বে না!আর রায়ান চাইতো সে গৃহিণী হয়েই থাকুক..এও কি সম্ভব?হাজার বার বোঝানোর পরেও রায়ান বুঝলো না...তাইতো আজ খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে...যা করেছে একদম ভালো করেছে... এরকম আনকালচারড ব্যাকডেটেড মানুষের সাথে থাকা যায় না...তার ডেডবডিটা পুঁতেছে ঠিক তার বাগানের পিছে...যা ঝোপঝাড়ে ভরা...কারো কোনো সন্দেহ করার প্রশ্নই উঠে না... আপাতত ডেডবডিটা ওখানেই থাকুক...পরে ভাবা যাবে ওটা নিয়ে...উফ!এত ক্ষুধা লেগেছে...ফ্রিজ খুলে দেখলো কোনো খাবার নেই।না...আজ খালি পেটেই শুতে হবে...এক গ্লাস পানি খেয়ে নিলো সানজানা...শাওয়ার নিয়ে এসে দেখলো ডাইনিং টেবিলে খিচুড়ি আর গরুর মাংস...ওমা! এগুলো কোথা থেকে এলো...খাবারের দিকে এভাবে কেন তাকিয়ে আছো?চমকে উঠে পিছনে ফিরলো সানজানা...পুরো শরীর হিম হয়ে গেলো তার...এমন করে কি দেখছো বলো তো? নিজের হাজবেন্ড রায়ান কে চিনতে এত কষ্ট হচ্ছে তোমার?অন্য কাউকে এক্সপেক্ট করছিলে বুঝি...তু...মি...এ...খা..নে?হ্যা...আমি... তাড়াতাড়ি খেয়ে নাও...ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে তো...তোমার তো আবার খালি পেটে ঘুম আসে না...হঠাৎ ইলেকট্রিসিটি চলে গেলো। কিছু বুঝতে পারছে না সানজানা এসব কি হচ্ছে... চারিদিকে এক পৈশাচিক নিস্তব্ধতা... ঘুটঘুটে অন্ধকার আর...সাত দিন পর সানজানা মল্লিক এর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। চারিদিকে ছিন্নভিন্ন দেহ পড়ে আছে...আর সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো তার শরীরে বাকি নেই এক ফোঁটা রক্তও অবশিষ্ট।
Poetic justice