

মাছ ধরাটা রহিম শেখের পেশা নয় নেশা।প্রতিদিন সাংসারিক কাজ শেষে যেই সন্ধা গনিয়ে আসেঢিল বর্শী রাখা টিনের বড় কৌটাটা নিয়ে চলে যায় ব্রন্ধপুত্র নদের পাড়ে।আজও তার ব্যাতিক্রমহয়নি।রহিম শেখ এসেই প্রথমে একটা ছালার বস্তা বিছিয়ে গদির মতো করে নেয়।তার পর কৌটাথেকে সূতা পেচানো ঢিল বর্শীটা বের করে বর্শীতে মাছের খাবার গেথে নেয়।তারপরে দাড়িয়েশরীরের সব শক্তি প্রয়োগ করে বর্শীটাকে ঢিল দিয়ে নদের মাঝখানে ফেলে,এপ্রান্তে বেধে রাখাসূতার মাথায় কাঠিটা সামনে রেখে একটা বিড়ি ধরায়।কোনদিন সূতায় টান পড়ে,ক্ষিপ্ত হস্তে সূতা টেনে দেখা যায় বোয়াল,গজার কিংবা শোল মাছ ধরেছে।কোনদিন এমনি বসে থাকতে হয়।মধ্যরাতে,কোন দিন ভোর বেলা খালি হাতে বাড়িফিরে।আজও বর্শী ফেলে বসে আছে হঠাৎ সূতায় প্রচন্ড টান পড়লো। তখন রাত বোধকরি বারটা বাজে।রহিম শেখ কৌশলের সাথে শক্তি প্রয়োগ করে সূতা টানতে লাগলো।বর্শী যখনপাড়ের কাছে এল,তখন রহিম শেখের চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল।বর্শীতে বড় এক বোয়াল মাছধরে আছে।অনেক কষ্টে টেনে হেচড়ে বোয়াল মাছটা পাড়ে তুলল।তারপর বর্শি থেকে মাছটাছাড়িয়ে সূতা গুটাতে লাগলো বাড়ি চলে যাওয়ার জন্য।হঠাৎ দুইটা ভূত ঝগড়া করতে করতেতার সামনে এসে দাড়ালো।একজন বলছে ওটা বর্শী আরেক জন বলছে ওটা টর্শী।রহিম শেখেরশরীর কাটা দিয়ে উঠলো
0 Comments