

কি কুক্ষণে যে এই বৃষ্টিতে বের হলাম?একটা জনমানব নেই...বাইকটাও নষ্ট... এখন কি করবো...নিজে নিজে একনাগাড়ে কথা বলে যাচ্ছে নাঈম...আর রাগে ফুঁসছে...কে?নাঈম না...হঠাৎ কারো আওয়াজ শুনে চমকে উঠে নাঈম...কে...ইভান...চিনতে পারছিস...হ্যা...তোকে চিনবো না!যদিও ঝুম বৃষ্টিতে আর লাইটপোস্টের আলোয় মুখটা আবছা দেখতে পাচ্ছি... কিন্তু তোর গলার স্বরে চিনতে পারছি...এই নির্জন রাতে এত বৃষ্টিতে কি করিস?দেখ না... অফিস থেকে ফেরার পথে বাইক নষ্ট...আটকে গেছি...আর কি?চল...তোকে পৌঁছে দিই...ঠিক আছে...চল...এখন কি করছিস?ওই সাংবাদিকতা...আর কি?তুই কি এখনও মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে আছিস...হ্যা... ওখানেই আছি... তুই তো আর যোগাযোগ ই রাখলি না...ইভান... সেই যে রাগ করলি...রাগ করবো না! তুই আমার ফেভারিট বাইকটা কিনে নিলি কেন?আরে...গাধা...বাইকটা তো আমি দুজনের জন্য কিনেছিলাম...তোর কাছে টাকা ছিলো না...সেজন্য..তাই... তুই আমাকে আগে বলিসনি কেন?কিভাবে বলবো...আপনি তো গাল ফুলিয়ে বসে ছিলেন...সরি...নাঈম... তুই তো জানিস আমি একটু বদরাগি...থাক...আর ঢঙ করতে হবে না... আরো তাড়াতাড়ি বাইক চালা... বৃষ্টি তো বাড়ছে...এই যে এসে গেছি...বাহ্!এত তাড়াতাড়ি পৌঁছে গেলাম...বাসায় চল...না... আরেকদিন... অনেক ভালো লাগলো দোস্ত তোর সাথে দেখা হয়ে...বুক থেকে একটা বোঝা নেমে গেলো... ভালো থাকিস...তুইও ভালো থাকিস...সকাল বেলা চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে পেপার পড়ছে নাঈম... হঠাৎ একটা খবরে চোখ আটকে গেলো তার...\"তরুন সাংবাদিক ইভান হোসেন এক বাইক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিক ভাবে নিহত।গত বিকালে এই দূর্ঘটনা ঘটে।\"পেপারটা হাত থেকে পড়ে গেলো নাঈমের...দু চোখ বেয়ে অঝোর ধারায় নেমে এলো অশ্রু...
Just Wow