হালের আলোচিত বা সমালোচিত একটি কন্টেন্ট জনরা হল কাপল ব্লগিং। দুজন মানুষ বিয়ে করছেন, তারপর তাদের ব্যক্তিগত আলাপচারিতা, ঘনিষ্ঠ মূহুর্ত, ঘুরাফেরা ইত্যাদি ভিডিও করে তারা বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ছাড়ছেন। উদ্দেশ্য খুব সিম্পল, মনেটাইজেশন সুবিধার পূর্ণ ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন। সমাজের একেক জনের দৃষ্টিভঙ্গি একেক রকম, তাই এতে কারো আপত্তি থাকলেও সেটা নিয়ে বাড়াবাড়ির সুযোগ নেই বা সেটা উচিতও নয়।তবে কিছু কন্টেন্ট ক্রিয়েটর তাদের শিশু সন্তানকে নিয়মিত আনে। ছোট শিশুর হাঁটাচলা, আধো আধো বুলি বা নিষ্পাপ দুষ্টুমি, সবই কন্টেন্ট। কিন্তু কথা হচ্ছে, শিশুটি কী এই ব্যাপারে বুঝে ? অন্যভাবে বলি, শিশুটির স্বাভাবিক আচরণকে কন্টেন্ট হিসেবে বিক্রি করা কি শিশুটির সাথে অন্যায় কিনা? সে ত এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেয়ার মত অবস্থা বা বয়সে নেই। এটাকে তার সাথে হওয়া প্রাইভেসী লংঘন হিসেবে চিহ্নিত করা যায় না? এমনও ত হতে পারে শিশুটি বড় হওয়ার পর তাকে নিয়ে কন্টেন্টগুলো পছন্দ করবে না। অভিভাবক চাইলেই কি তার শিশুকে দিয়ে যা মন চায় তা করাতে পারে ?শিশুদের আপাতদৃষ্টিতে “কিউট” “হোলসাম” কন্টেন্টে আমরা মুগ্ধ হয়। কিন্তু এর পেছনে জটিল প্রশ্নগুলো করি না। অনেক ক্ষেত্রে ভিউ আনতে অভিভাবকরা বাড়াবাড়ি করছেন যা মোটেও শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যকর না। এই ব্যাপারে কোন সুনির্দিষ্ট নীতিমালা বা আইন কি আছে? আমার জানামতে এখনো এই ব্যাপারে কোন নিয়মকানুন নেই।শিশুদের সুন্দর শৈশব ও ভবিষ্যতের জন্য এই ব্যাপারগুলোয় একটি আইন বা নীতিমালা আনা উচিত।
পড়ালেখা করেছি ব্যবসায় প্রশাসন ইন্সটিটিউট, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। অজানাকে জানার, নতুন জিনিস শেখার ও নতুন করে সবকিছুকে দেখার আগ্রহ ছোট থেকেই ছিল। সময়ের বিবর্তনে এখন লেখালেখির মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশের চেষ্টায় আছি। আগ্রহের জায়গা মূলত সমসাময়িক ঘটনাবলি, সামাজিক ও রাজনৈতিক ইস্যু, আন্তর্জাতিক ও ঐতিহাসিক ঘটনাপ্রবাহ।
0 Comments