গল্পএক রাতেই বুড়িআফছানা খানম অথৈভিয়েতনামের প্রদেশে বাস করতেন থানম তার পরিবারসহ।স্ত্রী ছেলে মেয়ে সবাই একসঙ্গে থাকতেন।পরিবারের সবাইকে নিয়ে থানম বেশ ভালো আছে,সুখে আছে।একদিন রাতে স্ত্রী খুব মজার মজার সামুদ্রিক মাছ রান্না করলেন।পরিবারের সবাই মজা করে খেল।তারপর সবাই ঘুমিয়ে পড়ল।সকাল হলে সবাই জেগে উঠল।কারো কিছু হলো না।স্ত্রী জোহানের সমস্ত শরীরের মারাত্নক চুলকানি দেখা দিলো।থানম স্ত্রীকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে গেল।ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানাল।সেদিনের রান্না করা খাবারে বিষাক্ত জীবানু ছিলো।তাই জোহানের শরীরের চুলকানি দেখা দিয়েছে।ডাক্তার কিছু ঔষধ লিখে দিলো।জোহান ঔষধ খেয়ে শুয়ে পড়ল।কিন্তু সে কী! এবার আর ও মারাত্নক ঘটনা ঘটল।এক রাতে যুবতি জোহান হয়ে গেল বুড়ি।সকালে ঘুম থেকে উঠার পর স্বামী দেখতে পেল,তার পাশে এক বুড়ি শুয়ে আছে।সে তো অবাক,তার পাশে বুড়ি আসল কোত্থেকে?তাছাড়া তার স্ত্রী কোথায়?জল্পনা কল্পনার অবসান হতে না হতে,স্ত্রী আওয়াজ তুলল।আর থানম বুঝতে পারল,এটা তার স্ত্রী,অন্য কেউ না।কিন্তু বুড়ি হলো কী করে?ছুটে গেল তারা ডাক্তারের কাছে।ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে একই কথা বলল,খাবারে কিছু বিষাক্ত জীবানু ছিলো,যা খাওয়ার কারণে সে যুবতি থেকে বুড়িতে পরিণত হয়েছে। কিছু ঔষধ লিখে দিলেন।এই ঔষধ খেলে হয়ত জোহান তার হারানো যৌবন ফিরে পেতে পারে বলে ডাক্তার জানালেন।এই আশা বুকে নিয়ে জোহান ঔষধ খাওয়া শুরু করলো।কিন্তু না, কোনো লাভ হলো না।তার হারানো যৌবন কোনোমতে ফিরে আসল না।সে বুড়ি রয়ে গেল।কিন্তু জোহান কিছুতেই স্ত্রীকে ছেড়ে গেল না।সে বলছে, আমার স্তী বেঁচে আছে।এতে আমি ধন্য।আমি সারাজীবন তার পাশে থাকব।তাকে ছেড়ে কোথাও যাব না।থানম স্ত্রীর সেবাযত্ন ও দেখভাল করছে ভালোভাবে।স্বল্প আয় সত্বেও তার ঔষধপথ্য ঠিকমতো চালাচ্ছে।কোনো অভিযোগ তুলছে না।বুড়ি স্ত্রীকে নিয়ে বেশ সুখে আছে জোহান।
0 Comments