“অহংকারের আগুন” কবিতায় মানুষের ভেতরের গর্ব ও অহংকার কিভাবে তাকে একা করে ফেলে, তা ফুটে উঠেছে। বন্ধুর পরামর্শকে অবহেলা, নিজের পথকে একমাত্র সত্য ভেবে চলা—সব শেষে নিয়ে আসে শূন্যতা আর কষ্ট। কিন্তু আয়নায় নিজেকে দেখে বুঝতে পারে, নম্রতা আর ভালোবাসার পথেই আছে প্রকৃত মুক্তি ও শান্তি।
অহংকারের আগুন
অহংকারের আগুন ✍️ লেখক: তুষার ভেবেছিলাম আমি-ই সবার সেরা, কারও কথায় ধৈর্য রাখিনি কখনো। বন্ধুর হাসি, পরামর্শ—সবই তুচ্ছ মনে হতো, নিজের পথকেই সত্য ভেবে হেঁটেছি একলা। কিন্তু শেষে বুঝলাম ভুলের ভার কাঁধে, অহংকার শুধু আগুন হয়ে জ্বালায় বুকের ভেতর। শান্তি খুঁজেছি অনেক, পাইনি কোথাও, মনের ভেতর খালি শূন্যতার হাহাকার। এক রাতে আয়নায় তাকিয়ে দেখলাম— চেনা মুখটা বদলে গেছে নিরবে। নম্রতা ছিল পাশে, আমি তাকে চিনিনি, অন্ধকারেই ডুবে থেকেছি বছরের পর বছর। আজ চাই, এই আগুন নিভে যাক ধীরে, হৃদয় খুলে শিখুক ক্ষমা, শিখুক ভালোবাসা। অহংকার ঝরলে মন হয় মুক্ত পাখির মতো, তবেই বুঝি মানুষ হয়ে বাঁচা যায় সত্যিকারে।
Page: /
Page: /
0 Comments