কবিতায় চাঁদাবাজদের ন্যায়বিচারের অভাব, তাদের পাপপূর্ণ শক্তি এবং সাধারণ মানুষদের প্রতি যে হিংস্রতার ছায়া পড়ে তা উজ্জ্বলভাবে ফুটানো হয়েছে। কবি চাঁদাবাজদের মুখোশধারী এবং ভয়ঙ্কর চরিত্রকে প্রকাশ করছেন, যাদের কর্মকাণ্ড মানুষের জীবনে বিপর্যয় ও দারিদ্র্য সৃষ্টি করে, কিন্তু জনতার রাগ একদিন তাদের পতন ঘটাবে।
চাঁদাবাজ, তুই খুনী!
চাঁদাবাজ, তুই খুনী! ✍️ লেখক: তুষার চাঁদাবাজ, তুই খুনী — নীরব রক্তপাতের, ভাতের থালা কেড়ে নেওয়া প্রতিটা অঘোষিত রাতের। তুই সাহস দেখাস কাগজে-কলমে, কিন্তু তোর সাহস পচে দুর্গন্ধ উঠে শরমে। তোর পায়ের নিচে চাপা পড়ে একেকটা বাপের ঘাম, তুই জানিস না — এই অভিশাপ পুড়ে দেবে তোর নাম। দোকানদার কাঁপে তোর টোপর চেয়ে, শিশুর প্যাকেট কমে তোর হাত নেড়ে! তুই রাজনীতি শিখিস পেছনের দরজা বেয়ে, কিন্তু মুখটা ঢাকিস বীরের মুখোশ দিয়ে। আইনের ছায়ায় দাঁড়িয়ে তুই ভিক্ষা করিস! মিছিল এলেই গর্ত খুঁড়ে ভেতরে ঢোকাস! তোর নাম — ভাই, বড় ভাই, নেতা, আসলে তুই এক মুখোশধারী পিশাচপেটা। তোর হাতের চাঁদা মানে কারো স্কুল বন্ধ, তোর হাঁসির আড়ালে শত মুখ অন্ধ। তুই বুক ফুলিয়ে হাঁটিস, কারণ গরীবেরা চুপ! কিন্তু মনে রাখ, তুই যে লাশ — জনতার একটুখানি রাগেই ফুস!
0 Comments