“শ্রেণির শেকল” কবিতায় তুষার সমাজের বৈষম্য তুলে ধরেছেন— জন্ম থেকেই শ্রেণি বিভাজন, ধনীর বিলাস আর গরিবের ক্ষুধা, শিক্ষা ও চিকিৎসার বৈষম্য। শ্রমিকের ঘামে গড়ে প্রাসাদ, অথচ তারা বঞ্চিত। এই অন্যায় ব্যবস্থার বিরুদ্ধে কবি ঘোষণা দেন মুক্তির বিপ্লবী আহ্বান।
শ্রেণির শেকল
🧷 শ্রেণির শেকল ✍️ লেখক: তুষার জন্মের মুহূর্তেই পড়ে যায় ফাঁদ, কে রাজপুত্র, কে হয় নামহীন জাত। সোনালি পালের নৌকা ভাসে যে ঘরে, অপরজন সেখানে ডুবে কাদার কুয়োর চরে। একজনের দিন শুরু হয় দুধ-বাদামে, অন্যজন ঘুম ভাঙে ক্ষুধার কান্নার সুরে। শিক্ষা সেখানে অধিকার নয়, বিলাস, স্বপ্ন শুধু ধনীর ছেলেই গড়তে পারে বিশ্বাস। চিকিৎসা যেন শুধু টাকার কাগজে বাঁধা, জীবন যেখানে কেবলই এক বাণিজ্যের পথ। গরিবের কান্না—শুনে না কোনো আদালত, তাদের গল্প চলে বাতাসে, অদৃশ্য রক্তরেখায় লেখা সত্য। শ্রমিকের ঘামে গড়ে ওঠে স্বর্ণের প্রাসাদ, কিন্তু তাদের সন্তান বড় হয় পেটের অসাদে। অন্যায়ের এ ব্যবস্থায় ন্যায় আজ মৃত, শ্রেণির নামে সভ্যতা করেছে মানবতাকে চিত্। তবু জমে থাকা রক্তে জেগে ওঠে আগুন, বুকের ভেতর ফুঁসে ওঠে এক বিপ্লবী ধ্বনি— এই শেকল, এই ভেদ, এই অন্ধ বিভাজন, ভেঙে ফেলতেই হবে—তবেই আসবে মুক্তির প্রণয়ন।
0 Comments