তুষারের “অভাব” কবিতায় জীবনের কঠিন বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে। অভাব মানে শুধু ক্ষুধা বা শীতের কষ্ট নয়, বরং তা এক গভীর মানসিক যন্ত্রণা। খালি হাঁড়ি, ছেঁড়া কাঁথা, রক্তে ভেজা পথ — সবকিছু মিলে অভাবের নির্মম ছবি আঁকা হয়েছে। তবে এই অন্ধকারেই লুকিয়ে আছে আলো আসার বার্তা। অভাব যেমন কাঁদায়, তেমনি লড়াইয়ের শক্তি আর আশার আলোও জাগায়। কবিতার শেষভাগে ফুটে উঠেছে বিশ্বাস—একদিন দুঃখ-যন্ত্রণা পেরিয়ে শুকনো ঠোঁটে হাসি ফুটবেই।
অভাব
অভাব ✍️ লেখক: তুষার অভাব মানে তৃষ্ণার্ত চোখে অন্ধকার রাত কাটানো, ক্ষুধার আগুন জ্বলে বুকের অন্তর গহন তলাও। খালি হাঁড়ির বিদ্রূপে বিদ্ধ হৃদয়ের আভাস, শিশুর মুখে না হয় খাদ্যের নীরব এক অনাহার। শীতের শ্যাওলা জড়ানো, ছেঁড়া কাঁথার বুকে, জীবন যেন শুষ্ক মরুভূমি, নিঃসঙ্গ এক ঝুকে। কাঁটার পথ পেরিয়ে হাঁটে পা রক্তে ভেজা, তবু জ্বলতে থাকে আশার মমতা — অন্ধকারের ভেজা। অভাব শেখায় কাঁদতে, সহ্য করতে অজস্র ব্যথা, লড়াইয়ের তেজ দেয়, জ্বেলে প্রহরীর শক্তি মাথা। এই অন্ধকারের শেষে ভোর হবে একদিন আলোর, শুকনো ঠোঁটে ফুটবে হাসি, বিদায় হবে সব যন্ত্রণার।
Page: /
Page: /
0 Comments