ছোট্ট সুখের একখানি ঘর টিনের ছাওনি পাতা,ঘরটির পাশে বাঁশ খুঁটি সাথে, বিশাল একখানা মাচা।উঠানের কোণে দুই মুখো চুলো,চটের দেওয়ালে ঘেরা।হাওয়া এসে তাই ঘিরে ধরে তার, চটের গায়ে ছেঁড়া ফাড়া।পশ্চিমের দরজাখানা মচমচে ঘুনে ধরা,বাতাসের সাথে হেলেদুলে যায়,মাটিসহ ভাঙা বেড়া।সেইখানেতেই জাহানারা রান্না বসায় রোজ,আত্নীয় স্বজন নাইকো বেঁচে, কেউ রাখেনা খোঁজ।মাঠ থেকে শাক তোলে রোজ, যদি বেচা হয় ক\'আটি।কারো কাছ থেকে কখনো জোটে,মাছের তরকারি এক বাটি।ঝুড়ি ভরা তার নকনকে পাতার টাটকা কলমি শাক,রোদ লেগে তাই সবুজের পরে, করে ওঠে ঝকমক।পাগলি মানুষ অল্প বোঝে, ডাক নাম শুনি কেতু।সবাই বলে তার বুদ্ধি বেজায়, কে কয় তার ভীতু?হতদরিদ্র জাহানারা লড়ছে জীবন নিয়ে,আসবে কি তার আর কখনো সুখের সে দিন ফিরে!✍️ শর্মিলা বহ্নি
0 Comments