
আমাদের গ্রাম বহ্মপুত্র নদীর তীরে—নদীর ওপারেই কানিল গ্রাম, যেখানে হিন্দু পল্লী গড়ে উঠেছে। কানিলের হিন্দু পাড়ার লোকেরা অধিকাংশই ধনী, ফলে বারবার তাদের বাড়িতে নৌকা দিয়ে ডাকাত এসে লুট করে চলে যেত। গ্রামের পাশে একটি খাল গিয়ে থেমেছে বিশাল এক বটগাছের নিচে—যেখানে ডাকাতরা নৌকা বেঁধে রেখে হানা দেয়।সেই ভয়াল রাত—১৯৮৫ সালের এক পূর্ণিমা। রাত প্রায় বারোটা। হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল কোলাহলে। চারপাশে চিৎকার, “ডাকাত পড়েছে! ডাকাত পড়েছে!” আমিও দৌড়ালাম শ্মশানের দিকে। গিয়ে দেখি তিন চারশো মানুষ রাস্তা আটকে দাঁড়িয়ে, লাঠিসোটা হাতে উত্তেজিত জনতা ডাকাতদের প্রতিরোধে প্রস্তুত। সামনে থেকে পাঁচ ব্যাটারির আলোয় ভেসে আসছে অনেকজন, ফাটছে হুমকি, “সরে যাও, না হলে মরবে! তোমাদের সঙ্গে কোনো শত্রুতা নেই।”
0 Comments