ঢাকার এক পুরোনো এলাকার একপাশে দাঁড়িয়ে আছে শতবর্ষী এক বাড়ি — ‘রজনী ভিলা’। অনেকেই বলে, সেখানে রাতের বেলা অদ্ভুত আওয়াজ শোনা যায়। বাড়ির মালিক ছিলো এক বিখ্যাত আইনজীবী, ব্যারিস্টার মঈনুল হক, যিনি হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়ে যান ১৯৯৮ সালে।২২ বছর পর, এক তরুণ সাংবাদিক, রুদ্র, এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের জন্য রজনী ভিলা নিয়ে কাজ শুরু করে। রুদ্র যুক্তি দিয়ে চলে — ভূত-প্রেত বলে কিছু নেই, সব রহস্যেরই ব্যাখ্যা আছে।এক রাতে সে সিদ্ধান্ত নেয়, ভেতরে রাত কাটাবে।রাত ১১টা। বাড়ির ভেতরে নিস্তব্ধতা। দেয়ালে ঝোলানো পোর্ট্রেট, পুরোনো ঘড়ির টিকটিক আওয়াজ, আর মাঝেমধ্যে মেঝেতে ইঁদুর দৌড়ানোর শব্দ — সব মিলিয়ে ভয়ের মৃদু সুর।হঠাৎ, একটা দরজা ‘কড়চড়’ শব্দ করে খুলে গেলো। রুদ্র এগিয়ে গেলো হাতে টর্চ নিয়ে। দরজার ওপারে একটা সরু সিঁড়ি। নিচে নামতেই হঠাৎ বাতি নিভে গেলো।নিচে একটা গোপন কক্ষে সে খুঁজে পায় অনেক পুরোনো নথিপত্র, কাটা ছবি, এবং এক ডায়েরি — ব্যারিস্টার মঈনুল হকের লেখা।ডায়েরিতে লেখা:\"তারা আমাকে চুপ করিয়ে দিতে চায়। আমি জানি কে কে জড়িত। যদি আমি হারিয়ে যাই, বুঝে নিও, এটা ছিল খুন। এবং খুনি খুব কাছের কেউ...\"রুদ্র স্তব্ধ। সে দেখতে পায় ব্যারিস্টারের সহকারী, মেহরাব সাহেবের নাম ডায়েরিতে বহুবার এসেছে — যে কিনা এখনো জীবিত, এবং একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি।পরদিন রুদ্র রিপোর্ট প্রকাশ করে — \"রজনী ভিলার রহস্য: খুন, রাজনীতি এবং ন্যায়ের এক হারিয়ে যাওয়া গল্প\"।কিন্তু গল্প এখানেই শেষ নয়।তিনদিন পর, রুদ্র নিজেও নিখোঁজ হয়ে যায়।-----
ভালত