দরজা-জানালা বন্ধ করে সাদা রঙা পর্দা টেনে রুমে বসে হতাশাগ্রস্ত অবস্থায় ছটফট করতে করতে হঠাৎ আয়নায় চোখ পরতেই বুক টা ধক করে উঠে। আমার মতো হুবুহু দেখতে ওটা কে?ওমন রহস্যময় হাসি কেন?আমার কাঁধে হাত রাখতেই ভয় উবে ভরসা এলো।:কাঁদছো কেন?:আমার ছটফট লাগছে, কারণ জানি না।:কারণ তুমি জানো,ভেবে আমাকে উত্তর দাও।:আমি বড় ছন্নছাড়া হয়ে গেছি :আজকাল,একগুঁয়ে, প্রতিটি পর্যায়ে আমি ব্যার্থ।:তোমার কি মনে হয়, এর পেছনে কারণ কি?:আমি জানি না।:তুমি জানো,কিন্তু স্বীকার করতে চাচ্ছো না।:না,আমি জানি না,তবে আন্দাজ করতে পারি। :আন্দাজ করে বলো আমায়।:আমার স্রষ্টার সাথে ইইন্টারেকশন টা কেমন যেন নেই মনে হচ্ছে। :কেন মনে হচ্ছে এমন? :আমি জানি না,আমার এখন আর সময় করে গডকে ডাকা হয় না,কথা হয় না।সমস্ত ব্যাস্ততা আমাকে গ্রাস করেছে।:তুমি কি ইন্টারেকশন চাও?:চাই,খুব করে চাই।:বর্তমানে তুমি কেমন?:অসহ্য,আমি অসহ্য।সন্দেহপ্রবন, মিথ্যাবাদী, দূর্বলচিত্তের এক ভীতু মানুষ।দ্বিধাদ্বন্ধের বেড়াজালে আবদ্ধ।আমি হীন খুব,ব্যর্থ,ক্লান্ত। :গডের সাথে তোমার কেমন ইন্টারেকশন ছিল?:দুর্দান্ত! মনে পরে যখন আমি সমস্ত জটিলতা থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলাম। গডের কাছে আবদার করতাম,কান্না করতাম,অভিযোগ জানাতাম।:এখন তুমি কেমন? :এখন আমার মনে \"কিন্তু\'র\"বাস।আমি চাই ঠিকি, তবে \'কিন্তু\' নিয়ে। :তুমি তো সব বুঝো,তবে এমন কেন?:আমি বুঝি সব,আমার স্রষ্টার কথা ভাবলে দুচোখ বেয়ে টপটপ করে জল পরে। কিন্তু আমি এই মায়াবী পৃথিবীর মায়ায় দ্রুত সব ভুলে যায়।:তুমি কখন বেশি অনুভব করো স্রষ্টাকে?:যখন আমি ব্যর্থ হয়,দুঃখ যখন ঘিরে ধরে। :তোমার কি মনে হয়,তুমি আস্তিক? :অবশ্যই, আমি আস্তিক।কিন্তু আমি আস্তিকতার মুখোশ পরা এক নাস্তিক,যে কিনা প্রয়োজন স্রষ্টার দ্বারে যায়।:তোমার এমন চিন্তাভাবনা স্রষ্টাকে আনন্দ দেয়,তা কি তুমি জানো?:আনন্দ?কেন?:তুমি চাও ইন্টারেকশন কিন্তু মায়া কাটানোর ক্ষমতাও তোমার নেই,তুমি একনিষ্ঠতা চাও কিন্তু তোমার সময় নেই।কিন্তু সবকিছুর পরেও তুমি তোমার আস্তিকতাকে বিসর্জন দাও নি।:এতে কি প্রমাণ হয়?:স্রষ্টা তোমায় সুযোগ দিচ্ছেন বারবার, তুমি যেন ইন্টারেকশন তৈরি করে নিতে পারো।:আমি কি করে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করবো?:নিয়ন্ত্রণ? সে তো মানুষের কম্ম নই।তুমি চেষ্টা করো,তোমার প্রভু তোমায় নিয়ন্ত্রণ করবে।তুমি শিশুর ন্যায় ভাবো সবকিছু :কিন্তু আমি তো শিশু নই।:বোকামেয়ে,স্রষ্টার কাছে তুমি নিতান্তই এক দুগ্ধপোষ্য শিশু বৈকি!তোমার যখন কান্না আসে,স্রষ্টার নিকট কাঁদো,যখন খুব কষ্ট পাও স্রষ্টার নিকট জানাও,যখন তুমি একাকিত্বে ভুগবে,স্রষ্টার সঙ্গ গ্রহণ করো।:তবে কি আমি আবার বলতে পারি, \"আমার এতকিছু জানি না প্রভু,আমার জন্য যা ভালো তুমি তাই করো \"।:অবশ্যই বলবে, তবে মনে কোনো দ্বন্দ্ব রেখে নই,নিশ্চিত হয়ে, চোখ বন্ধ করে। :কিন্তু তুমি কে?আমার মতো দেখতে? :(তাচ্ছিল্যের হাসি)আমি? আমি তোমার অবয়ব।তোমার অব্যক্ত কথা,আমি তোমার অংশ,তোমারই আত্মা।ভালো থেকো।স্রষ্টার সাথে ইন্টারেকশন তৈরি করো,দেখবে তুমি সবকিছুর উর্ধ্বে,তোমার কাউকে প্রয়োজন হবে না।:Oh my dear Soul!Thank you for coming to me, for talking to me, for giving me time.I will remember this debt of yours foreve, if I can make interconnection with my Creato.
0 Comments