কবিতাটি এক ক্ষুধার্ত মানুষের দুঃখ, ত্যাগ ও ক্ষীণ আশা নিয়ে লেখা। শহরের ভিড়ে অগোচরে থাকা তার যন্ত্রণা, পেটের অভাব ও তবু জীবনের প্রতি এক ক্ষীণ আশা ফুটে উঠেছে। রাতের নিস্তব্ধতা, চাঁদের আলো ও মানুষের অগোচর ভ্রমণ তার একাকীত্বকে আরও গভীর করে। শেষাংশে তার ছোট্ট আশা—আগামী ভোরে হয়তো খাবারের ব্যবস্থা হবে—দেখানো হয়েছে।
ক্ষুধার্ত আশা
ক্ষুধার্ত আশা ✍️ লেখক: তুষার শহরের পথে, গলির বাঁকে, ম্লান চোখ দুটি তাকিয়ে থাকে, হাতে তার ভাঙা কাঁসার থালা, স্বপ্নগুলো ধুলোয় গালা। পেটের ভিতর আগুন জ্বলে, দিনের পর দিন অন্ধ গলে, চারপাশে শুধু খাবারের গন্ধ, তবু মুখে আসে না এক বিন্দু অন্ন। লোকেরা চলে, ব্যস্ত, তাড়া, কেউ দেখেনা ক্ষুধার আড়া, তার চোখের ভাষা নীরব কান্না, কেউ বোঝে না—শুধু চলে যাওয়া জানে। রাত নামে, আলো নিভে, চাঁদ ওঠে ধুলো মেখে, পেটের শূন্যতা ঘুম কেড়ে নেয়, স্বপ্নগুলো ছিঁড়ে বয়ে যায় হাওয়ায়। তবু সে ভাবে—আগামী ভোরে, হয়তো রুটি আসবে হাতে ধরে, ক্লান্ত প্রাণে ক্ষীণ আশা বেঁচে, ক্ষুধার্ত মানুষ বেঁচে থাকে এভাবে।
Page: /
Page: /
0 Comments