\"ক্ষুধার্ত\" কবিতায় একজন অভাবগ্রস্ত মানুষের দুঃখ, শারীরিক কষ্ট এবং সমাজের উদাসীনতা ফুটে উঠেছে। রাতের শীত, রাস্তার অন্ধকার, ধুলো আর দূরের সুগন্ধি খাবারের টান—সবই তার ক্ষুধার বাস্তবতা তুলে ধরে। হাড়ের ওপর টানটান চামড়া, চোখে শুকনো নদীর মতো দৃষ্টি, তার মানসিক যন্ত্রণার প্রতীক। কবি দেখিয়েছেন কিভাবে সমাজ তার ক্ষুধার কষ্টে উদাসীন, তবু ক্ষুধার্তের মনের এক চুপচাপ আশা—ভোরের আলোয় জীবনের সম্ভাবনা খুঁজে পাওয়া—থাকে।
ক্ষুধার্ত
ক্ষুধার্ত ✍️ লেখক: তুষার রাস্তার বাতি কাঁপে শীতের হাওয়ায়, ধুলোয় ঢাকা রাত চেয়ে থাকে ছায়ায়। দূরের হোটেল থেকে ভেসে আসে গন্ধ, তার পেটের ভেতর ঢেউ তোলে অনন্ত। হাড়ের ওপর টানটান চামড়া, চোখে আছে শুকনো নদীর ধারা, হাত দুটো বাড়িয়ে দেয় অন্ধকার আকাশে, মনে হয়—তারকারাও যেন রুটি হয়ে আসছে। মানুষ চলে যায়, চোখ মেলে না, কেউই বোঝে না ক্ষুধার মানচিত্রটা, যেখানে দেশের সীমানা হলো শূন্য থালা, আর স্বপ্ন শুধু ধোঁয়ায় ভরা কালো জ্বালা। সে হাঁটে—মৃত চাঁদের তলে, পেটের আগুন হাতে করে চলে, তবু তার মনে আছে এক চুপচাপ আশা— ভোরের আলোয় হয়তো মিলবে জীবনের ভাষা।
Page: /
Page: /
0 Comments